শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: মাদকাসক্তি একটি বহুমত্রিক সামাজিক সমস্যা। যে যুব সমাজ দেশ ও জাতির আগামী দিনের চালিকাশক্তি, তাদের একটি অংশ মাদকাসক্তির কবলে পড়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকাসক্ত তরুণরা কর্মশক্তি, মেধা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও আদর্শ হতে বিচ্যূত হয়, যা দেশ ও জাতির জন্য বয়ে আনে অপূরণীয় ক্ষতি। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময়ই মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এই পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী অবৈধ মাদক উদ্ধার করে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন ও অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। ভারত হতে ফেন্সিডিল এর চালানগুলো এনে সড়ক, রেল ও বিমানপথে ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকাসহ সারাদেশে। র্যাব এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৬/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৬.১০ ঘটিকায় র্যাব-২ এর আভিযানিক দল মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ০১ টি পিকআপভ্যান যোগে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী পরষ্পর যোগসাজসে আমদানী নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল নিয়ে গাবতলী বেড়ীবাধ রোড হয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় বিক্রয়ে উদ্দেশ্যে আসিতেছে।
প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাবের আভিযানিক দল সকাল ০৬.২০ ঘটিকায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা তিন রাস্তার মোড় রাসেল টেলিকম এন্ড ষ্টেশনারী দোকান নং-১০১/১ এর সামনে রাস্তার উপর উপস্থিত হয়ে পিকআপ ভ্যানটি আটকের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। অতপর সকাল ০৬.৩০ ঘটিকায় পিকআপ ভ্যানটি ঘটনাস্থানে পৌঁছালে থামার জন্য সংকেত দিলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পিকআপভ্যান থামিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ১। মোঃ শরিফুল ইসলাম (২৪), এবং ২। মোঃ রিপন (২৩)’দ্বয়কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিঞ্জাসাবাদে তাদের পিকআপভ্যানের মধ্যে আমের ক্যারেটের ভিতরে থাকা নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল এর কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে পিকআপ ভ্যানের ভিতর করে বহনকৃত আমের ক্যারেটের ভিতর অভিনব পস্থায় লুকিয়ে রাখা ১০০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন, যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৭,০০,০০০/- (সাত লক্ষ) টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, তারা পরষ্পর যোগসাজোসে দীর্ঘ দিন যাবৎ সীমান্তবর্তী জেলা চাপাইনবাবগঞ্জ হতে মাদক ক্রয় করে পিকআপ ভ্যান যোগে বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের অন্তরালে নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল সুকৌশলে ঢাকায় নিয়ে এসে সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, বর্তমান যুব সমাজে ফেন্সিডিল এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় চড়া দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তারা পরস্পর যোগসাজোসে ভারত হতে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে (নিষিদ্ধ মাদক) রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছে এবং ইতোপূর্বেও বেশ কয়েকটি মাদকের চালান সফলতার সহিত সরবরাহ করেছে বলে জানায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।